ব্রেকিং নিউজ

ঠিক যেন নেতাজির বার্তা! জেলা শাসকের বক্তব্যে, মুহূর্তেই বেঁচে উঠলেন ‘দি গ্রেট লিডার’

ঠিক যেন নেতাজির বার্তা! জেলা শাসকের নজরকাড়া বক্তব্যে, মুহূর্তেই বেঁচে উঠলেন ‘দি গ্রেট লিডার’

নিউজ বাংলা লাইভ ডেস্ক: নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে নন্দকুমারের বহিচবেড়িয়া হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন এবং বার্ষিক ক্রীড়া সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী সভা। সেখানে এসেই সমাজ পরিবর্তনের স্বার্থে নজর কারা বক্তব্য রাখেন জেলা শাসক তানভির আফজল। তাঁর এমন অভিনব বার্তা, নজর কারে উপস্থিত স্রোতা মহলে। নড়ে বসেন প্রায় সকলেই। ছোটো থেকে বড়ো সকলের মনেই দাগ কাটে নিঃসন্দেহে।

নেতাজির জন্মদিনে এ যেনো তাঁকে দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার! নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু চিরটাকাল স্বপ্ন দেখতেন স্বাধীন ভারত গড়ার। মনুষ্যমনে চেতনা বিকাশে তিনি থাকতেন সদা ‘এক্টিভ’। শুধু দেশের স্বাধীনতা না, দেশকে স্বাধীন করতে গেলে মানুষকে হতে হবে মন থেকে স্বাধীন। তাইতো একদা তিনি বলেছিলেন, “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো”। অর্থাৎ ঘুরে ফিরে সেই একই বার্তা- আমাদের পিছিয়ে এলে হবে না, নির্ভয়ে সঠিক কর্ম করে যেতে হবে তবেই পরিবর্তন সম্ভব। সেই সদা এক্টিভ গ্রেট লিডারের জন্মদিনেই সমাজ পরিবর্তনের পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ গড়ার বার্তা দিলেন জেলার জেলা শাসক।

শুরুতেই শিশু মন আকর্ষণে, রসিকতার সঙ্গে তিনি বলেন ” আমি জানি আমাদের সামনে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বসে আছে তারা একদমই আমাদের বড় বড় কথা পছন্দ করছে না, যে কত তাড়াতাড়ি এরা শেষ করুক একটু এখান থেকে পালাতে পারি।” এরপরেই বাচ্চাদের কথা বাচ্চাদের মতো করেই সহজ সরলভাবে বলতে শুরু করেন তিনি। বর্তমানে বছরে একবার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে হয়তো সকলে আমরা নেতাজিকে মনে করি কিংবা ইতিহাস বইয়ের পাতা খুললে তখনই নেতাজির কথা আমাদের মনে পড়ে। তারপর সারা বছর নেতাজি কি বলেছিলেন,স্বামীজি কি বলেছিলেন, এমন মহান মানুষদের কথাগুল জীবনে চলার পথে আমরা মনে রাখি না।

তাদের শ্রদ্ধা জানাতে সত্যি চাইলে এটা একদমই করা যাবেনা। বরং উল্টে তাদের দেওয়া কথাগুলোকে রেখে যেতে হবে ভবিষ্যতের প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে। সোজা কথায় বললে তাঁদের দেওয়া স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে গেলে, প্রকৃত অর্থে সম্মান প্রদান করতে গেলে বাস্তবে বছরের ৩৬৫ টা দিন তাদের আদর্শ মাথায় রেখে কাজ করে যেতে হবে। একদিন মাল্যদান করে তারপর সারা বছর ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না।

যে কথাগুলো তারা বলেছিলেন সেগুলোকে জীবনে বাস্তবায়িত করতে না পারলে কখনোই উন্নয়ন সম্ভব না। আর তার সূচনা করতে হবে একেবারে গোড়া থেকে। অর্থাৎ শিশুকাল থেকেই সেই শিক্ষা দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। তিনি আরও বলেন, নেতাজি ইকুয়াল শিক্ষার কথা প্রথম তুলেছিলেন। ধর্ম জাতির নির্বিশেষে সকলের শিক্ষার কথা ভাবতেন তিনি। আজকের দিনেও সেই বিভাজন লক্ষ্যনীয় থেকে সারা দেশে।

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

শিক্ষার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরো বলেন “কার কাছে বেশি টাকা আছে, কার কাছে কম টাকা আছে, বেশি টাকা থাকলে ভালো শিক্ষা পাবো, কম টাকা থাকলে কম ভালো পাবো। জাতি ধর্ম নিয়ে চারদিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারি যে কিরকম দেশে এখন থাকতে শুরু করেছি। এইরকম দেশ তো নেতাজি চাননি।”
নিজেকে যদি ভালো রাখতে হয় ভালোভাবে থাকতে হয় সর্বোপরি দেশকে ভালো রাখতে হয় তবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে শিক্ষার বিস্তারই একমাত্র পথ। তাই সবার আগে, শুধরে ফেলতে হবে নিজেকে, সেই শোধরানোর স্বার্থেই করতে হবে পড়াশোনা- নেতাজির জন্মদিনে সমাজ পরিবর্তনে মূলত এমনটাই বক্তব্য রাখেন জেলা শাসক তানভির আফজল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *