ঠাকুর আছে, প্যান্ডেল আছে কিন্তু নেই কোনো আনন্দ, উৎসাহ,উদ্দীপনা। গোটা গ্রামের রাস্তা জলমগ্ন
নিউজ বাংলা লাইভ : কয়েকদিন বাকি পুজো এতেই প্রহর গুনছে গোটা এলাকা। আজ তৃতীয়া একপ্রকার শহরে পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়েছে, দর্শনার্থীরা। কিন্তু পাঁশকুড়ার ডোবাপুকুর গ্রামে বিষাদের সুর। হ্যান্ডেল আছে ঠাকুর আছে নেই কোন উৎসবের আনন্দ উদ্দীপনা।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20231017-WA0043-1024x576.jpg)
কারণ অতি বর্ষণের কারণে গ্রামে যাতায়াতের মেন প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার পিচে রাস্তা কোথাও হাঁটু সমান কোথাও কোমর সমান জল।পাঁশকুড়ার ব্লকের রাধাবল্লভচক অঞ্চলের ডাবুয়াপুকুর গ্রাম যেন এখন পুকুর। সাত থেকে আটটি গ্রাম নিয়ে হয় একটি মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো। বর্ষার আগে প্যান্ডেল এবং ঠাকুর এসে গেলেও পুজো নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে উদ্যোক্তাদের। কারণ মিনি রাস্তা দিয়ে আসতে হয় পুজো মন্ডপ গিয়ে আর সেই মেইন রাস্তার কোথাও কোমর কোথাও হাঁটু সমান জল। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন যে মূলত নিকাশির অব্যবস্থার কারণে অতি বর্ষণের জল যন্ত্রণা পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। কিভাবে দুর্গাপূজো কাটাবে এই আনন্দের মুহূর্ত চোখের সামনে অন্ধকার কিছু ভেবেই উঠতে পারছেন না ডাবুয়া পুকুর এলাকাবাসীরা। গ্রামের রীতিনীতি মেনে দুর্গা মন্ডলের সামনেই পুজোর উপাচার বেল গাছ ও ফুলের গাছ লাগানো হয়েছিল সেগুলো জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুজোর পদ্ম ফুলের জন্য এলাকার পুকুরেই পদ্ম চাষ করে গ্রামবাসীরা সেই পুকুর থেকে পদ্ম তুলে পুজো হয় মা দুর্গার কিন্তু অতি বর্ষণের কারণে পদ্মফুলের গাছ জলে তোরে চলে গিয়েছে। কিভাবে চিরাচরিত গ্রামের দুর্গাপুজোয় পদ্মফুল সহ বিভিন্ন উপাসনা করবে তা ভেবে কুল পাচ্ছে না এলাকাবাসীরা।