কাঁথিজেলাপূর্ব মেদিনীপুরব্রেকিং নিউজ

জলবায়ু পরিবর্তনে চাষের ভবিষ্যৎ শীর্ষক আলোচনা


নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর :: জৈবিক কৃষি আজকের দিনে কতটা প্রাসঙ্গিক তা আমজনতা থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিক সহ জনপ্রতিনিধি সকলেই বুঝতে পারছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজলা জনকল্যাণ সমিতি বিগত আড়াই দশক ধরে জেলার নানা প্রান্তের কৃষকদের দ্বারা জৈব কৃষি ব্যবস্থার প্রচার ও প্রসারের কাজ করে চলেছে। বর্তমানে এই সমিতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়িয়ে ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কৃষক ভাইদের মধ্যে ও প্রচার, প্রসার ও দক্ষতা বৃদ্ধির কাজ সহ সহজলভ্য জৈব কৃষিজ ফসল বিক্রয় করার মাধ্যমে তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফিবছর কোথাও অতিবৃষ্টি কোথাও অতিবৃষ্টি কোথাও আবার অনাবৃষ্টি আমরা দেখতে পাচ্ছি , ফলে চাষের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে আসছে, চাষের খরচ বেড়ে যাচ্ছে আর তার ফলে কৃষক আরো বেশি ঋণগ্রস্ত হচ্ছে, কোথাও কোথাও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে। পরবর্তী প্রজন্ম চাষের প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে। আগামী দিন চাষ ব্যবস্থা আরো ভয়াবহ হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
আজ কাজলা জনকল্যাণ সমিতির প্রধান কার্যালয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কিষান স্বরাজ সমিতির উদ্যোগে ও কাজলা জনকল্যাণ সমিতির ব্যবস্থাপনায়, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার ৬০০ কৃষক ভাইদের নিয়ে “জলবায়ু পরিবর্তনে চাষের ভবিষ্যৎ শীর্ষক “- একটি আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রাসঙ্গিক আলোচনা প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে সূচনা করেন অর্ধেন্দুশেখর চ্যাটার্জী ফাউন্ডার মেম্বার, ডেভলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন এন্ড সার্ভিস সেন্টার ( কলকাতা) মহাশয়। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর সুজিত সিনহা অধ্যাপক, জাতীয় স্তরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন, সুব্রত কুন্ডু ( ডি, আর, সি.এস সি, ) প্রতিনিধি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর পূর্ণেন্দু কুমার ঘন্টা , কাঁথি মহাকুমার কৃষি আধিকারিক, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বেজ, কাজলা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি অসীম কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক স্বপন পন্ডা মহাশয় প্রমুখ। সাধারণ সম্পাদক স্বপন পান্ডা তার প্রারম্ভিক ভাষণে উপস্থিত সকল কৃষক ভাইদের স্বাগত জানান ও আজকের আলোচনার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোকপাত করেন । তিনি বলেন বর্তমান চাষ ব্যবস্থায় কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে দিন দিন চাষের খরচ বাড়ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে আর তার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে, এবং চাষের ভবিষ্যৎ আরো খারাপ হচ্ছে। তাই আগামী চাষ ব্যবস্থার জন্য আমাদের আরও সচেতন হতে হবে এবং জৈব কৃষি ব্যবস্থার উপর জোর দিতে হবে। অন্যদিকে দুই প্রধান আলোচক মাননীয় অর্ধেন্দু শেখর চট্টোপাধ্যায় ও ডক্টর সুজিত সিনহা মহাশয় জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে কি ধরনের চাষ ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া উচিৎ তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আলোচনা করেন। ডক্টর সুজিত সিনহা কৃষি ও ভালো সমাজের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই আলোচনা চক্রে অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো পুরো আলোচনা সভাপতিত্ব করেন কিষান স্বরাজ সমিতির সভাপতি প্রদীপ খাটুয়া এবং সঞ্চালনা করেন সমিতির কো-অর্ডিনেটর সন্দীপ দে মহাশয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *