জেলাব্রেকিং নিউজ

জমিদার বাড়ির জৌলুস হারালেও শতাব্দীপ্রাচীন দুর্গাপূজো চলছে এখনো পুরনো ঐতিহ্য মেনেই।

কেশিয়াড়ী , শান্তনু রায় -:: নেই জমিদারিত্ব, জৌলুস হারিয়েছে চুন সুড়কি আর ইঁটের ইমারত, তবুও নিয়ম-রীতি মেনেই পুজা হয় কেশিয়াড়ির পতি বাড়িতে।নয়নয় করে প্রায় তিনশত বছর এভাবেই চলে আসছে দশভুজার আরাধনা।
সে অনেক পূরোনো কথা।উড়িষ্যা থেকে বাংলায় এসে ইংরেজ দের থেকে জমিদারিত্ব কেনেন ওড়িষ্যার এক ব্যক্তি।প্রতিষ্ঠা করেন জমিদারিত্ব, সাথে রাম-সীতার মন্দির।নিজেদের জমিদার কুলেই গড়ে উঠে মন্দির।প্রায় ৩০০ বছর আগে শুরু হয় দেবি দুর্গার আরাধনা।জানা গেছে জমিদার রঘুনাথ পতি প্রথম শুরু করেন দুর্গাপুজার।জমিদার বংশে কোনদিন মূর্তি পুজা হয়নি এ যাবৎ।পুজার কথা ভাবলেও তা সফল রূপ দিতে পারেনি কেউ।কেশিয়াড়ির বিশাল এলাকায় জমিদারিত্ব ছিল পতিদের।জমিদারি থেকে খাজনা বা উপার্জিত অর্থ দিয়ে পুজা হত দেবি দশভুজার।পটে আঁকা ছবিতেই প্রতিবছর চারটা দিন পুজা পায় দেবি।ষষ্ঠী তে বেল তলায় পুজা হয়ে শুরু হয় আরাধনার।উড়িয়া ধারায় পুজা হলেও সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত হোম হয় পতি বাড়িতে।১৫ কিলো ঘি আহুতি হয় দেবির সামনে।তবে আগুন না,তুলোর উপর সূর্যের রশ্মি ফেলে আগুন ধরিয়ে আহুতি হয় দেবি মহামায়ার।সপ্তমী অষ্টমী র সন্ধিপুজাতে চাল কুমড়া বলি হয় এখানে।সপ্তমী, নবমী রাতে ও দশমীর সকালে দেবিকে অন্যান্য ভোগ আহারের সাথে পান্তা ও মাছপোড়া দেওয়া হয়।যার আয়োজন করেন বাড়ির মহিলারা।পরে দশমীতে সিন্দুর খেলায় মাতেন ঘরের মহিলা থেকে সকলে।
আগে দিনে কথিত রয়েছে “পতির ঘরে লতি-ছতি”। অর্থাৎ পুজার পাশাপাশি যাত্রাপালা এবং খাওয়া দাওয়ার বিশাল আয়োজন হত কেশিয়াড়ির পতি জমিদার বাড়িতে।
তবে দিন যত বদলেছে পুরোনো রীতি থাকলেও রেওয়াজ বদলেছে।নিজেদের আয়োজনে পুজা হয় পতিবাড়িতে। দেবি আগমনের দিন গুনছে পতি জমিদার বাড়ির সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *