Breakingব্রেকিং নিউজশীর্ষ খবর

চিকিৎসার জন্য রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক কর্মীর বিরুদ্ধে

নিউজ বাংলা লাইভ : বারুইপুর; চিকিৎসার জন্য রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক কর্মীর বিরুদ্ধে।এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমার হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সরকারি হাসপাতালে আমরা এতদিন জেনে এসেছি যে বিনামূল্যের চিকিৎসা হয়।কিন্তু সরকারি হাসপাতালের কর্মরত কর্মী কি করে এক রোগীর পরিবারের কাছ থেকে চিকিৎসার নাম করে টাকা চায় সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এই গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বুধবার কুলতলি থানার জামতলার বাসিন্দা ভগীরথ মণ্ডল টোটো দুর্ঘটনায় আহত হন। তাঁর মাথা ফাটে,হাত ভাঙে

এই অবস্থায় প্রথমে তাঁকে জয়নগর- কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সেখান থেকে রাতেই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।আহতের বাবা পরীক্ষিত মণ্ডলের অভিযোগ,বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসককে দেখানো হলে চিকিৎসক সেলাই ও ব্যান্ডেজ করার কথা বলেন।আর সেই সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দাবি করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত এক কর্মী। যুবকের বাবার দাবি

প্রথমে ৩০০ টাকা পরে আবার ১০০ টাকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয় সেলাই করার জন্য।আর এখানেই প্রশ্ন সরকারি হাসপাতালে কেনো সেলাই করার নামে টাকা নেওয়া হল।এই বিষয়ে বারুইপুর মহকুমার হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় বলেন,এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে এখনো এসে পৌঁছায়নি।যদি আমার কাছে অভিযোগ আসে তাহলে আমরা তদন্ত শুরু করব এবং এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত থাকবে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেব। কিন্তু আমি ভিডিওতে দেখছি যে এক রোগীর পরিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ করছে যে তার কাছ থেকে সেলাই করার নাম করে টাকা নিয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এই ঘটনার যুক্ত থাকা অভিযুক্তদের শাস্তি দেবো আমরা। এটি সরকারি হাসপাতাল এখানে বিনামূল্যেই চিকিৎসা করা হয়। কারোর কাছে চিকিৎসার নামে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *