নিজস্ব প্রতিনিধি,দার্জিলিং:-চার মাস পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এলেন পাহাড়ে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার দিনের পাহাড় সফরে এলেন। আজ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দার্জিলিং এসে পৌঁছান। রাস্তার দু’ধারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখার জন্য পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমান। সেইসঙ্গে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থকরা রোহিনি থেকে শুরু করে দার্জিলিংয়ের রেলস্টেশনে মুখ্যমন্ত্রীকে দলীয় পতাকা নেড়ে তাকে স্বাগত জানান পাহাড়ে।এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা বা সমর্থক তেমন করে চোখে পরলো না যেটা আগে দেখা গিয়েছিল।রোহিনী পেরিয়ে কার্শিয়াং প্রবেশ করতেই মুখ্যমন্ত্রী কনভয় থমকে দাঁড়ালো রাস্তার দু’ধারে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কার্শিয়াং বাসীরা আগে থেকেই প্রস্তুত হয়েছিল।অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের করা শাসনে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে কেউই পৌঁছতে পারেনি।কার্শিয়াঙে অনীত থাপার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন দার্জিলিং যাওয়ার বিভিন্ন রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিজিপিএম কর্মী সমর্থকেরা ছিলেন। অনিত থাপা কে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন তার গাড়িতে ওঠার জন্য। একটু পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন সেই দেখাদেখি অনিত থাপা গাড়ি থেকে নেমে পড়েন ভিক্টরি সাইন দেখান। উল্লেখ্য গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্বাচনে সবাইকে পিছনে ফেলে অনিত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বেশ কয়েকটি আসন পেয়ে অন্য দল গুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকেন।আগামীকাল দার্জিলিং এর চৌরাস্তা ম্যালে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। প্রস্তুতি শেষের মুখে। সকাল ১১ টায় শপথ নেবেন চেয়ারম্যান হিসেবে অনির থাপা।ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। আগামী ১৩ ই জুলাই আদি কবি ভানু ভক্তের জন্মজয়ন্তী পালন করা হবে সেই জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ওই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করবেন দীর্ঘ চার মাস পর মুখ্যমন্ত্রী আবার পাহাড়ে এলেন পাহাড় বাসিরা আশা করছেন এবারও হয়তো মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ের রাজনীতি এখন অনেকটা অস্তমিত কারণ বেশ কয়েক মাস তেমন করে পাহারার উত্তপ্ত হয়নি। পাহাড়বাসীরা আস্তে আস্তে দার্জিলিং পাহাড়ের উন্নয়নের নানা দিকগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্রমশই পাহাড়বাসীর ভরসা বাড়ছে। এখনো বহু কাজ করার রয়েছে যা রাজ্য সরকারকে খুব দ্রুত সারতে হবে তার কারণ পাহাড়ের রাজনীতির প্রেক্ষাপট কখনো উত্তপ্ত কখনো বা একেবারেই শান্ত পরিবেশ।