মালদাশীর্ষ খবরস্বাস্থ্য

গোরুর মহামারী লাম্পি রোগ রুখতে মানিকচক চলছে প্রতিষেধক ক্যাম্প

পার্থ ঝা,মানিকচক: সারা দেশে করোনার পরে গবাদি পশুর লাম্পী মহামারী শুরু হয়ছে।এই লাম্পী স্কিন ডিজিজ মহামারী কারনে আতঙ্কে রয়েছে সব গরু পালকরা। কেন্দ্রীয় সরকারি যা তথ্য আছে তাতে জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত লাম্পী ভাইরাস গবাদি পশুর ক্ষেত্রে মহামারির আকার ধারণ করে। দেশের ১৫ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫৩ টি জেলার প্রায় ২১.৫ লক্ষ গবাদিপশু লাম্পী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় এক লক্ষ ১১ হাজার ৫৬৪ টি।এই সংখ্যার সিংহ ভাগ মৃত্যু এবং আক্রান্ত সংখ্যা রাজস্থানে। আমদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখনও পর্যন্ত ওই ভাইরাসে সংক্রমণের ফলে প্রায় ৬০০ টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওই ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি গবাদি পশু।

মালদা জেলায় এখন তেমন বেশি খবর পাওয়া যায়নি।এর জন্য প্রত্যেক ব্লক চলছে পশু সচেতন শিবির এবং ভ্যাকসিন ক্যাম্প। বুধবার থেকে দুইদিন মানিকচক ব্লকের পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামে মালদা কেভিডকে এবং ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন অধিকারী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে চলছে পশু সচেতন শিবির এবং প্রতিশোধ প্রতিশোধক ক্যাম্প।

ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারী ডক্টর গোলাম ফ্লচের জানান লাম্পি ভাইরাস মূলত গরু, মহিষ,ছাগল প্রাণীকে আক্রমণ করে থাকে। মশা, মাছি বা রক্তপান করা পোকা ওই রোগের ভাইরাসের বাহকের কাজ করে। রোগে আক্রান্ত হলে প্রাণীর গায়ে বড় বড় ফোসকা পড়ে এবং পরে তা ফেটে গিয়ে সিক্রেশন ও রক্ত বের হয়। যার ফলে প্রানীর জ্বর আসে।সারা গায়ে ব্যাথা অনুভব হয় সাথে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা শূন্য হয়ে যায়। বড় গবাদি পশু কিছুদিন বাঁচলেও বাছুরের মৃত্যু হয়। সেই ক্ষেত্রে আক্রান্ত প্রানীটিকে দ্রুত আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মালদা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের হেড এবং বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ডক্টর রাকেশ রায় জানান,কৃষক দের আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং প্রত্যেকটি গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত এবং লক্ষ্ণন দেখে এবং বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শে মেনে পেনিসিলিন, অ্যান্টিহিস্টামিন, আইভার মেকটিন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত এর সঙ্গে উনি বলেন দুই দিনে আমরা প্রায় ১২০ টির গরু এবং ২০০ ছাগল কে আমরা প্রতিশোধক এবং ওষুধ দিয়ে থাকি।

এই লাম্পি ভাইরাসের সচেতন এবং প্রতিশোধক ক্যাম্প এর পরিচালক ডক্টর ভিক্টর সরকার বলেন ‘ আমরা মালদা কেবিকে থেকে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিক্রার অন্তর্গত গ্রামে সচেতন এবং প্রতিশোধক ক্যাম্প এর অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছি এর জন্য গো পালকরা খুব খুশি এবং আরো তিনি বলেন যেই সব গরুর এই রোগের লক্ষ্ণন দেখা দেবে তাদের আইসলোসনে রাখতে হবে।

এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিল ব্লক ভেটেনারি অফিসার (মোবাইল ভেটেনারি উইনিট) মনিরুল ইসলাম, উদ্যান পালন বিজ্ঞানী ডক্টর শুদ্ধসূচি দাস, শস্য সুরক্ষা বিজ্ঞানী পারমিতা ভৌমিক, বরিষ্ঠ গবেষক সচিন সরকার এবং সুদক্ষ সহায়ক শেখ সাইফুল আলম । প্রগতিশীল গো – পালক সুকুমার মন্ডল বলেন এ যে আজকে আমদের ভ্যাকসিন পাওয়াতে আমাদের অনেক গবাদি পশু বেঁচে গেল কারণে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং বি এল ডি ও অফিসকে অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *