খোদ অন্দরেই ক্ষোভ!হারের দায় প্রার্থী ও জেলা সভাপতিকে কাঠগড়ায় তুললো তৃণমূল নেতৃত্বরা।
পূর্ব মেদিনীপুর: মন্ত্রী ও ব্লক নেতৃত্ব’কে বাদ দিয়ে রামনগর বিধানসভার সমানন্তরাল সংগঠন তৈরি করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি! সেই সমানন্তরাল সংগঠন তৈরি করার জন্যই লোকসভা নির্বাচনে রামনগর বিধানসভায় পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করে কাঁথি লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উওম বারিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা’র উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন রামনগর ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্বরা।
পটাশপুর বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ধরে রাখতে পারেনি। জেলা পরিষদের জিতে যেখানে সভাধিপতি হয়েছে সেখানেও তৃণমূল ভোট কমলো কোন? এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এলো। রবিবার রামনগর ২ ব্লকের বালিসাই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পার্টি অফিসে বিধানসভা আর পর্যালোচনা নিয়ে ব্লক নেতৃত্ব’দের নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রামনগর বিধানসভা তৃণমূল কমিটির পর্যালোচনা সভায় উঠে এলো এমনই মতামত।বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নিতাই চরণ সারের আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই সভায় দলের ২ ব্লকের সভাপতি, যুব সভাপতি এবং ২ ব্লকের ১৭ টি অঞ্চলের সভাপতির উপস্থিত হন। সেখানে লোকসভা নির্বাচনে রামনগর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবির কারণ নিয়ে নানান মতামত উঠে আসে। সমন্বয়ের অভাবই যার সারমর্ম বলে জানান তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে আগামী দিনে ৯ হাজার ২০০ ভোটের ঘাটতি কিভাবে পূরণ হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।