কাঁথিপূর্ব মেদিনীপুর

কে জিতবে কাঁথি লোকসভায় ? কোটি টাকার এই প্রশ্নের ঝাঁঝালো উত্তর দিলেন কাঁথি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক।

পূর্ব মেদিনীপুর: কোটি টাকার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ তারিখ পর্যন্ত। তবে কাঁথি’র সম্ভাব্য ফল কি হতে পারে তা নিয়েই এখন সরগরম কাঁথির প্রত্যেকটি অলিগলি থেকে রাজপথ। বাদ যায়নি পাড়ার ক্লাব কিংবা চায়ের দোকান। কারণ কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কাঁথি’র ভূমিপুত্র তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয় সৌমেন্দু কাঁথির তিনবারের সাংসদ শিশির অধিকারীর ছোট ছেলেও বটে।

অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী- তৃণমূল কংগ্রেসের পরীক্ষিত সৈনিক তথা পটাশপুর বিধানসভার বিধায়ক ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। সারা রাজ্যের একাধিক সমীক্ষা যখন বলছে- কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, সেই সময় সমস্ত এক্সিট পোলের সমীক্ষা উড়িয়ে দিয়ে উত্তম বারিকের দাবি- কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেছেন- ২০২১ সালে তিনি যে পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন সমস্ত সমীক্ষায় তা উল্টো দেখানো হয়েছিল। আবার ২০২৩ এ (২০২১ এর বিধানসভার নিরিখে) বিজেপির শক্ত ঘাঁটি খেজুরি থেকে তিনি জেলা পরিষদ আসনে জয়যুক্ত হয়েছেন।

তখনও সমীক্ষায় দেখানো হয়েছিল- তিনি হারছেন। তাই তিনি বলেছেন- “বিভিন্ন সমীক্ষা প্যাকেট ভিত্তিক হয়েছে, ২০২১ এ কোন সমীক্ষায় বলিনি পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করবে। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ বলেনি, খেজুরির ৫৫ নম্বর জেলা পরিষদ আসন তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করবে।” নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে যেমন মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস তেমনই নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে মরিয়া কাঁথির অধিকারী পরিবার। ফলত কাঁথি লোকসভা আসনে লড়াই সেয়ানে সেয়ানে এমনটাই মনে করছেন, রাজনৈতিক মহলের একাংশ।‌

তবে ভোটের ফল যাই হোক না কেন তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তার লেস নেই বললেই চলে উত্তমের। ভোটের পরই রোমাল ঝড়ে সৈকত নগরী দীঘায় যেমন তাকে দেখা গেছে নিশ্চিন্তে সভাধীপতির দায়িত্ব পালন করতে, ঠিক তেমনি ভোট প্রচারের পরও- নিজের বাইকে করে গোটা এলাকায় স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। কারণ তিনি 100 ভাগ আশাবাদী কাঁথি লোক সভা কেন্দ্র থেকে শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *