রাজ্য

কৃষি নির্ভর ত্রিপুরাকে সমৃদ্ধ করছে গোমতীর তীরবর্তী উদয়পুর! লক্ষী লাভে হাসি চওড়া হচ্ছে কৃষিজীবীদের।

উদয়পুর: মাতাবাড়ি ও কিল্লা ব্লকের অন্তর্ভুক্ত পিত্রা পঞ্চায়েত ও দেওয়ানবাড়ী পঞ্চায়েত এলাকার জনজীবন কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার ১০০% লোকের মধ্যে ৭০ শতাংশ লোকেই কৃষির উপর নির্ভরশীল। গোমতী নদীর পাড়েই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার বেশ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে কৃষি জমি। সেখানে বছরের দুই ফসলি ফসল হয় বলে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়। তবে শুধু ধানি জমি-ই নয় ; সেই সঙ্গে রয়েছে মটর, লাউ, আলু, শসা, ক্ষিরা, তরমুজ ইত্যাদি নানাহ ফসলের চাষ করা হয় এই এলাকায়। সেখানে দেখা গেল ৮ থেকে ৮০ বছরের বিভিন্ন লোক এই পেশার সাথে যুক্ত রয়েছে।

পেশাজীবী কৃষকরা নতুন প্রজন্মের কাছে দাবি রাখে, এই কৃষিজ ফসল করেও সংসার প্রতিপালন করার মতো সামর্থ্য রয়েছে বর্তমানে। তবে এলাকাটিতে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন থেকেও পানীয় জল সরবরাহ রয়েছে প্রতি ঘরে ঘরে। অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন খারাপ নয় বলেও দাবি এলাকার মানুষের। স্থানীয় লোকজনদের কথা অনুযায়ী এই গ্রাম এলাকার চিত্রটি দিকে লক্ষ্য করা গেলে দেখা যায়, বহু মানুষ কিছু না কিছু করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।

তবে রাতে কৃষিজ ফসল নষ্ট করার অভিযোগ করে একাংশ কৃষকরা। রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যায় বহু ফসল। কিন্তু পুলিশ, পাহারাদার থাকা সত্ত্বেও তাদের কোনও উদ্যোগী ভূমিকা নেই বলে দাবি স্থানীয় লোকজনদের। কৃষিকে উন্নয়ন করার জন্য সরকার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহকারে কৃষিজ যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামও দেওয়া হয় বলে জানান কৃষকরা। সেই দিকের লক্ষ্য রেখে এবং কৃষি দপ্তরের ইতিবাচক ভূমিকায়, উদ্যোগী কৃষকরা ভালোই লাভের মুখ দেখছে বলে সাংবাদিকদের সামনে নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেন। কৃষকরা জানায়, তাদের এই কৃষিজ ফসল উদয়পুর মহকুমার বিভিন্ন বাজারে বাজারে সরবরাহ করা হয়। এখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমাস্তরের বাজারগুলিতেও প্রেরণ করা হয় এই এলাকার ফসল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *