কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায পরিদর্শনে বিধায়ক তরুণ মাইতি
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG_20230320_113131.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, এগরা:কালবৈশাখীর ঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে লন্ড ভন্ড হয়েছে এগরার বিস্তীর্ণ এলাকা। গাছ পড়ে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে শনিবার দুপুর থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকলো গোটা এগরার বিস্তীর্ণ এলাকা। পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ায় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ধান জমি এবং বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়লো পানের বরোজ।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG_20230320_113158.jpg)
রবিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেয়া, তেলামি, অলংগিরি, কামারডিহা ও জেড়থান সহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় এলাকার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। এদিন তিনি মোটর বাইকে করে স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সরজমিনে গোটা এলাকায় কতটা ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তা ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি এদিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সঙ্গে পাশে থাকার আশ্বাস ও দেন তিনি।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG_20230320_113615.jpg)
এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন এগরা ১ ব্লকের জেড়থান, ছত্রী ও বরিদা এলাকায় সবচেয়ে বেশি পানের বরোজ ও ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি জেড়থান এলাকায় বেশ কিছু ঘর বাড়ি ও পোল্টি ফার্ম ভেঙে পরেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস ও দেন তিনি।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG_20230320_113808.jpg)
এদিন তৃণমূলের বিধায়ককে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা হাওড়া জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষক অরূপ দাস জানিয়েছেন, যে সরকার মানুষের নূন্যতম সামাজিক অধিকার ঘর, রাস্তা ঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনা সেই সরকারের শাসন ক্ষমতায় থাকা উচিত না।
তিনি আরও বলেন আজকে তৃণমূল বিধায়ক ঘুরে এসে বলবেন আমি দেখছি। এই সব নাটক করে কিছু লাভ নাই। সামনের পঞ্চায়েতে মানুষের জন সমর্থন পাওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি যেতে হচ্ছে। সাধারণ একটা ঝড়ের জন্য বিধায়ককে বাড়ি যেতে যেতে এটা সত্যিই খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG_20230320_113148.jpg)
তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা আদৌ কি সরকারি সাহায্য কিংবা ক্ষতিপূরণ পাবে! তা নিয়েই আশায় দিন গুনছে এলাকাবাসী।