তমলুকব্রেকিং নিউজরাজনীতি

কার্যত ফাঁকা মাঠে বক্তৃতা সৌমেনের! জোর কটাক্ষ বিজেপির

নিউজ বাংলা টুডে : কার্যত ফাঁকা মাঠে বক্তব্য দিতে দেখা গেল প্রাক্তন মন্ত্রী, তথা তমলুকের বিধায়ক এবং তৃনমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।আর এই ছবি নিয়েই কটাক্ষ বিজেপির!

তমলুকের নিমতৌড়ীতে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী, তথা তমলুকের বিধায়ক এবং তৃনমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। তিনি মঞ্চে ভাষান দেওয়ার সময় দর্শক আসনে বসে ছিলেন হাতে গনা জনত্রিশ লোক। আর এই ছবি দেখেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি সহ সভাপতি আশিষ মন্ডল বলেন, তৃনমূল কংগ্রেসের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছেন? তিনি আরও বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কার্য কর্তাদের গ্রেফতার কথা বলছেন, আর তিনি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন। যদিও এ বিষয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, শীতের সকাল তাই ভিড় কম, দিন বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়বে এমনটাই আশাবাদী তারা।মঞ্চে ছিলেন তাম্রলিপ্ত পৌরসভা চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক, অধ্যাপক ব্রহ্মময় নন্দ।

যদিও এটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। প্রতিবছর এই দিনটিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমর্পনে, যথাযথ মর্যাদায় আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতিবিজড়িত নিমতৌড়ী স্মৃতি সৌধে অনুষ্ঠিত হল ৮১তম তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিবছর এই দিনটিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমর্পনে, যথাযথ মর্যাদায় আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের। এলাকা জুড়ে উপচে পড়ে জনস্রোত। তবে এবারের বদলে গেল অনেকটা! মিলল না আগের বছরের সাথে। হাউ হাউ করা ভরা জনস্রোতের বদলে চোখে পড়লো ফাঁকা মাঠ। কিন্তু হঠাৎ কেনো এতো পরিবর্তন? অনেকেরই মতে এর পিছনেও রয়েছে রাজনীতির জাল ! দেশের জন্য লড়াই করা বীর যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে আজকের এই দিনটিতে একই রকম ভাবে পালিত হয়ে আসে বছর বছর। স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সংগ্রামীদের স্মৃতিবিজড়িত তমলুকের নিমতৌড়ী স্মৃতিসৌধ অর্থাৎ তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ব্রিটিশ শাসনকালে এটি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমান্তরাল জাতীয় সরকার।

প্রতি বছর মতো এই বছরেও যথাযথ মর্যাদার সহিত ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। দিনটি পালন করার তাগিদে হয়তোবা দেশ ভক্তি থেকেই একত্রে জমা হন প্রচুর মানুষ। বরং বলা বাহুল্য দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন সকলেই। মূলত দেশের কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কিংবা মানুষের কল্যাণে সর্বদা খেটে যাচ্ছেন এমন মানুষরা আমন্ত্রিত থাকেন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে। তবে এবারের ছবি বদলে গেল অনেকটা। প্রতিবারের মতো এবারে দেখা গেল না আমন্ত্রিত তেমন কোন অতিথিকে। অনেকেরই দাবি ঠিক এই কারণেই কমেছে ভিড়। দেখা গেল না আগের মতো জনস্রোত। তবে ভিড় যেমনই থাক! অনুষ্ঠান মঞ্চের কেউই তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন। চিন্তার ছাপ কারোর মুখেই দেখা গেল না বিন্দুমাত্র। তাদের দাবি শীতের সকাল তাই ভিড় কম, দিন বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়বে এমনটাই আশাবাদী তারা। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে বিষয়টি একেবারেই স্বাভাবিক নয়। এ নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল পড়েছে দূর দূরান্তে। সমালোচনার ঝড় উঠছে প্রকাশ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *