পূর্ব মেদিনীপুরব্রেকিং নিউজহাওড়া

কাপড় কাচা কাল হলো!ব্যাগভর্তি গয়না ও কোলে বাচ্ছা নিয়ে চম্পট মহিলা চোর।

নিজস্ব প্রতিনিধি,হাওড়া: গৃহকর্তী জামাকাপড় কাচতে ব্যস্ত। আর তার ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে ঘর ফাঁকা পেয়ে ঢুকে গহনা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট এক মহিলা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জগাছা থানা এলাকার কামারডাঙ্গা এলাকাতে। পরিবারের দাবি ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে বাড়ির সর্বস্ব লুঠ করে পগার পার মহিলারা। পুলিশ সূত্রে খবর কয়েকদিন আগেই দাসনগর এলাকাতেও একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটে। সেখানেও অভিযোগ ওঠে এক মহিলা ভিখারীর বেশ ধরে কোলে বাচ্ছা নিয়ে একই ভাবে লুঠ চালায়। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে আজকে লেকটাউনে ধরা পরে দুই মহিলা। যদিও তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়ির গৃহকর্ত্রী নন্দরানী ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন তিনি ছাদে কাছাকাছি করছিলেন জামাকাপড়। তার স্বামী মুড়ি কিনতে দোকানে বেরিয়েছে। তার পাঁচ দশ মিনিটের মধ্যে একজন মহিলা ভিখারী বাচ্ছাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে আসে। তাকে দেখে তিনি বলেন কেনো সে এখনও যায় নি। এরপর তিনি উদ্ধার করেন বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। তখনই তিনি মেয়ের গয়নার ব্যাগ খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু সেই ব্যাগ খুঁজে পান না। ভয়ে তিনি তার জামাইয়ের মোবাইলে ফোন করেন। তবে গয়নার ব্যাগ হারিয়ে গেছে সেটা জানাতে পারেন নি ভয়ে। তিনি জানান ওই ব্যাগে তার মেয়ের হার কানের দুল ছাড়াও তার নাতনির হাতের ব্রেসলেট ও অন্যান্য গয়না ছিল। তার মেয়ে শনিবার দিন কালীপুজোর জন্য বাপের বাড়ি এসেছিল। আজকে চলে যাওয়ার কথা তাই ওই ব্যাগ বাইরে বের করেছিল মেয়ে। সন্ধ্যেবেলায় পুজো দেখে শ্বশুর বাড়ি চলে যাবে বলে খাটের উপরে রেখেছিল। তার মেয়ে কাবেরী ধারা জানান তার পঁয়ত্রিশ বছর বয়স হলো তবে এভাবে এই এলাকাতে এভাবে কখনো চুরি হয় নি। তিনি অমাবশ্যার পুজোর জন্য কদমতলায় ফল কিনতে গেছিলেন স্নান করে। পথে মায়ের ফোন আসে। বাড়ির সদর দরজা খুলে উপরে এসে ব্যাগ থেকে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার গয়না ওই ব্যাগে ছিল বলেই দাবি করেন তিনি। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে জগাছা থানার পুলিশ। কলকাতা থেকে যে দুজনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিষয়েও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জগাছা থানার আধিকারিকরা বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *