Breakingদুর্ঘটনানন্দকুমার

করমন্ডল এক্সপ্রেসের সাফাইকর্মী সুশান্ত ডিয়াসির অভিজ্ঞতা

নিউজ বাংলা লাইভ : ভয়াবহ দুর্ঘটনার ৪২ ঘন্টা পরেও চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ করমন্ডল এক্সপ্রেসের সাফাই কর্মী সুশান্ত ডিয়াসির। পেশার রেলের সাফাই কর্মী সুশান্ত ডিয়াসির বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত কুমারচক গ্রামে। করমন্ডল এক্সপ্রেস এর ভয়াবহ দুর্ঘটনার সময় সুশান্ত B3 কামরায় কর্মরত অবস্থায় ছিল। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা পড়ে জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসেও আতঙ্ক কাটছে না তাঁর। নিজেই সামান্য আঘাত পেয়ে বাড়ি ফিরে এলেও মন ভার অন্যান্য যাত্রীদের জন্য। অভিশপ্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে সুশান্ত ডিয়াসি পুলিশের সাহায্যে বাড়ি ফিরেছে। বাড়ি ফিরে দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা কথা জানাল।

তিনি জানান শুক্রবার তার করমন্ডল এক্সপ্রেসে ডিউটি ছিল। খড়গপুর থেকে করমন্ডল এক্সপ্রেসে ওঠে। B3 কামরায় কাজ করার সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। প্রথমে বিকট আওয়াজ করে প্রচন্ড ঝাকুনি তারপর শুধুই যাত্রীদের আর্তচিৎকার। সুশান্ত আরও জানায় নিজের হাতে পায়ে চোট লেগেছে তা সত্ত্বেও ওই কামরা থেকে বেশ কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়।

তারপর নিজে ওই কামরা থেকে বেরিয়ে আসে। দুর্ঘটনায় সুশান্ত নিজেও আহত তার হাতে ও পায়ে চোট লেগেছে। সুশান্ত আরো জানাই যেই মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে সেই মুহূর্তে শুধু ভগবানের কাছে আকুতি ছাড়া আর কিছুই জানানোর ছিল না।

প্রসঙ্গত শতাব্দীর ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বাহানাগ বাজার স্টেশন। স্বজন হারানো কান্না পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলায়। দুর্ঘটনার পর দ্রুততার সঙ্গে চলছে রেলওয়ে ট্র্যাক পুনরনির্মাণের কাজ। আর এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী যারা তাদের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। রেলের সাফাই কর্মী সুশান্ত ডিয়াশি এখনো অন্যান্য যাত্রীর আর্তচিৎকার এখনও মন থেকে মুছে ফেলতে পারছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *