ইতিহাসে আজকের দিনে

কড়কনাথ ও টার্কি মুরগির চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম পটাশপুর যুবকের

নিজস্ব প্রতিনিধি : কড়কনাথ ও টার্কি মুরগির চাহিদা রয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। ভারতে কড়কনাথ ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ায়। এখানকার এই মুরগির চাহিদা রয়েছে গোটা ভারতে। বাড়িতেই এই কড়কনাথ ও টার্কি মুরগির চাষ করে রোজগারের নতুন দিশা দেখাচ্ছে পটাশপুরের এক ব্যক্তি।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের পঁচেট গ্রামের সুধীর দাস এখন কড়কনাথ ও টার্কি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করে লাখ লাখ টাকা রোজগার! আশা দেখাচ্ছে। তার উৎপাদন করা বাচ্চা কিনে এখন লাখ লাখ টাকা রোজগার করছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা‌। কড়কনাথ মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারী। এই মাংসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও প্রোটিন থাকে। আবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও থাকে অনেক কম। ফলে এই মাংস হার্টের রোগী ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত। চিকিৎসকেরা অনেক সময় এই মাংস খেতে পরামর্শ দেন। কড়কনাথ মুরগির এমন বিশেষ বিশেষ গুণের জন্যই এর চাহিদা সবসময়ই থাকে আকাশ ছোঁয়া। তাই এই ব্যবসা করে মোটা টাকা আয় করা যেতে পারে। এছাড়া, সরকারের তরফে এই মুরগির খামার তৈরিতে আর্থিক সাহায্যও করা হচ্ছে। যার ফলে বহু মানুষ এই ব্যবসায় উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন।বাড়িতে সামান্য জায়গায় থাকলেই শুরুতে মাত্র ১০০টি মুরগি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। পরে অভিজ্ঞতা বাড়লে ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। বিনিয়োগের কথা উঠলে ধরে নিতে হবে, ১০০ টি মুরগুর দাম পড়তে পারে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। যার মধ্যে শেড নির্মাণের খরচও রয়েছে। যে কোনও KVK কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে এই মুরগি চাষের প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে। কড়কনাথ মুরগি ডিম থেকে ছানা ফুটে বার হতে প্রায় ২১ দিন সময় লাগে। এরপর এই মুরগি বড় হতে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৫ মাস সময় লাগে। এই মুরগির খাবার জন্য তেমন খরচ করতে হয় না। বাড়ির অতিরিক্ত ধান, শাক এদের প্রধান খাদ্য। এই মুরগির রোগও বেশি হয় না, ফলে ব্যবসা সুরক্ষিত হতে পারে।আয়ের কথা বলতে গেলে, মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করেই ১০০ টি মুরগি বিক্রি ১ লাখ থেকে ১.২০ লাখ টাকা বার্ষিক আয় করা যেতে পারে। শীতকালে এই মাংসের দাম প্রতি কেজি ১০০০-১২০০ টাকায় পৌঁছে যায়। অন্য সময় এই দাম থাকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি দরে।সুধীর বাবু বলেন, “ আমি ইউটিউব দেখে প্রথমে ১০০ টা বাচ্চা নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন আমি শুধু মুরগি প্রতিপালন করি না। সাথে সাথে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে বাচ্চা উৎপাদন করে যুবকের এই ব্যবসায় আগ্রহ দেখাচ্ছি। শুধু জেলা নয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যুবকরা আমার থেকে পরামর্শ ও এই মুগির বাচ্চা নিয়ে লাখ লাখ টাকা রোজগার করছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *