ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শেষ, এবার উদ্বোধনের অপেক্ষায় হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো পরিষেবা
নিউজ বাংলা টুডে ডেক্স: ভারতের প্রথম জলের নীচ দিয়ে যাওয়া মেট্রোর সুড়ঙ্গপথের নির্মাণ মাত্র ৬৬ দিনে সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, হুগলী নদীর নীচ দিয়ে যাওয়া এই সুরঙ্গ, যা ভারতে আর কোথাও নেই। মাত্র ৬৬ দিনের মধ্যেই ৫২০ মিটার লম্বা এই সুরঙ্গ পথ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে, যা এক রেকর্ড। নদীবক্ষের ১৩ মিটার বা ৪০ ফুট নীচ দিয়ে যাওয়া এই সুড়ঙ্গ, গঙ্গার পূর্ব তীরে আর্মেনিয়াম ঘাট ও পশ্চিম তীরে হাওড়া স্টেশন চত্বরকে যুক্ত করেছে। মেট্রো রেল সূত্রে বলা হয়েছে, ১৬ দশমিক ৫/৫ কিলোমিটার এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/02/IMG_20230226_223843.jpg)
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড (Esplanade) অবধি মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শেষ। এই অংশে গঙ্গার নিচে সুড়ঙ্গ বানানো হয়েছে। ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া থেকে ১৭১০ মেট্রিক টন ইস্পাত এনে তাকে খণ্ডবিখণ্ড করে তৈরি হয়েছে মেট্রোরেলের ট্র্যাক। এই কাজ খুব একটা সহজ ছিল না ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষে। তবে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেই কাজ শেষ হয়েছে। এবার মেট্রো চালুর পালা।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/02/IMG_20230226_223856.jpg)
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (সিভিল) শৈলেশ কুমার জানালেন, ‘পূর্ব-পশ্চিম করিডোরের ক্ষেত্রে এই টানেল অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই রুটে লোকবসতি এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। ফলে নদীন নিচ দিয়ে টানেল করে লাইন আনাটাই ছিল একমাত্র উপায়।’
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/02/IMG_20230226_223928.jpg)
একের পর এক সমস্যার কারণে বারবার পিছিয়েছে মেট্রো রেলের এই অংশের কাজ। নানা কারণে বেড়েছে ব্যায়ও। ২০০৯ সালে এই প্রকল্পের জন্য ৪,৮৭৫ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/02/IMG_20230226_205033.jpg)
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, হাওড়া ময়দান (Howrah Maidan) থেকে এসপ্ল্যানেড (Esplanade) – এই ১৬.৫৫ কিলোমিটার পাতালপথ খুলে যাবে এ বছর ডিসেম্বর থেকেই। অর্থাৎ ক্রিসমাসের সময় এই রুটে মেট্রোতেই যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। বলা হচ্ছে, এর মধ্যে হাওড়া মেট্রো স্টেশনটি গঙ্গার নিচে সবচেয়ে গভীর স্টেশন (Deepest station) হিসেবে তৈরি হচ্ছে। মাটি থেকে ৩০ মিটার গভীরে তারঅবস্থান হতে চলেছে।