বীরভূমব্রেকিং নিউজ

ইরিগেশন দপ্তরের নিরাপত্তা রক্ষীরা সাত মাস বেতন না পেয়ে দপ্তরের সামনে ধর্ণা।

দিব্যেন্দু গোস্বামী, বীরভূম:-বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো, এরপর কালীপুজো এবং ভাতৃদ্বিতীয়া, ।এই অনুষ্ঠানে প্রত্যেক বছর এই উৎসবে মেতে ওঠেন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ। কিন্তু এবছর আর সেভাবে এই সমস্ত অনুষ্ঠনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না ওরা। প্রতিনিয়ত যারা নিরাপত্তার কাজ করে তাদের বেলায় দেওয়ালির প্রদীপ জ্বলবে কিনা সন্দেহ। কোনবারেই এরকম কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়নি ওই সমস্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের। বাড়িতে রয়েছে মা-বাবা কন্যা পুত্র। তাদের জামাপ্যান্ট তো দূরস্থ । খাওয়া পড়ার বন্দোবস্ত করতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে ওই সমস্ত নিরাপত্তা রক্ষী। কেন বেতন বন্ধ তার সদুত্তর মেলা ভার। বছরের পর বছর রোদ বৃষ্টি ঝড় কে সঙ্গী করেই তারা দিনের পর দিন নিরাপত্তার কাজ করে চলেছে তাদের মূল্য দেন না ইরিগেশন দপ্তর।দপ্তরের আধিকারিকরা কেন এই বৈষম্য মূলক আচরণ তা জানাতে চাইনি আধিকারিকরা । অন্যের ঘরে যখন অনুষ্ঠানের ঘোর ঘনঘটা তখন এই সমস্ত নিরাপত্তা রক্ষী যারা রয়েছে তাদের বেলায় কোনরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নি কেউই। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা রক্ষীরা কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সাত মাস ধরে তাদের কোন বেতন হয়নি। তবুও কর্তব্যের খাতিরে তারা নিরাপত্তার রক্ষির কাজ করে চলেছে নিরালস ভাবে। কাউকেই জানতে দেননি কিভাবে তাদের দিন গুজরান হয়।সাত মাস ধরে কেন তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তার স্পষ্ট তো ইঙ্গিত দিতে পারেননি সিউড়ি ইরিগেসেন দপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে তারা এখন অসহায় । অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন সংসার চালানোর জন্য । বহু জায়গায় ধার দেনা করে আজ তারা নিঃস্ব। ধার দেনাই জর্জরিত তারা। এই পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদের বকেয়া টাকা আদায়ের এর দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইরিগেশন দপ্তরের সামনে ধরনায় বসেছেন। তাদের বক্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পূজার আগেই তাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে । সাত মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ। কেন তাদের বেতন বন্ধ করা হয়েছে তাও তাদের কাছে অজ্ঞাত । তাদের এই ধরনা কর্মসূচির বিষয় এড়িয়ে গেছেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ দাস। তিনি জানিয়েছেন নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য বরাদ্দ যে ফান্ড সেখানে কোন রকম টাকা না আসার কারণে সমস্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের বকেয়া টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি ।এতদিন ধরে বকেয়া টাকা তাদের হাতে না আসায় নিরাপত্তারক্ষীরা দায়ী করেছেন ইরিগেশন দপ্তরকে । কবে তারা বেতন পাবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওই সমস্ত নিরাপত্তা কর্মীরা । তাদের একটাই বক্তব্য সাত মাসের বেতন অবিলম্বে ইরিগেশন কর্তৃপক্ষ কবে তাদের হাতে তুলে দেবেন। সেই দিকেই তাকিয়ে ওই সমস্ত নিরাপত্তা কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *