Breakingব্রেকিং নিউজশীর্ষ খবর

আবারও ধর্ষনের অভিযোগ স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে ! গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

নিউজ বাংলা লাইভ : কাকদ্বীপ;মুম্বাইয়ে গৃহ শিক্ষক টানা ন-বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছিল এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে।ওই ছাত্রীর পরিবার আদতে পশ্চিম বঙ্গের বাসিন্দা।কর্মসূত্রে থাকেন ঐখানে।অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষক গ্রেফতার হওয়ার পর ওই ঘটনা নিয়ে ঝড় উঠেছে নানা মহলে।তার রেশ কাটতে না কাটতে এবার বাংলায় অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শৌচালয়ের মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে। নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ফায়জ উদ্দিন মোল্লা (২৬) । ঢোলাহাটের একটি মাদ্রাসায় অস্থায়ী শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটে চলতি মাসের ২১ জুলাই। নির্যাতিতার পরিবার জানায়, স্কুলের শৌচালয়ে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। অভিযোগ, তাকে সেখানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এক ওই শিক্ষক।

শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীকে শৌচালয়ের ভেতরেই আটকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান অভিযুক্ত শিক্ষক।এমনকি, এই ঘটনা নিয়ে বাইরে মুখ না খোলার জন্য নির্যাতিতাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ ছাত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবী, শৌচালয়ের দরজার বাইরে তালা ঝোলানো থাকায় অন্যান্য পড়ুয়াদের সন্দেহ হয়। এরপরই অন্য শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সাহায্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে সমস্ত কথা পরিবারকে জানায়। প্রধান শিক্ষকের কাছে নাবালিকার পরিবার অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তারা আরও অভিযোগ তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে তারা থানায় গিয়ে কোনও অভিযোগ না দায়ের করেন।ওই নাবালিকা ছাত্রীর মায়ের কথায়

“আমার মেয়ে শৌচালয়ে গিয়েছিল। তখন শৌচালয়ের মধ্যে ঢুকে ধর্ষণ করে। মেয়ের এক বান্ধবী বাড়িতে খবর দেয়, যে ওকে তালাবন্ধ করে রেখেছে। আমি স্কুলে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি, কেন তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। তখন বাকি শিক্ষকরা বিষয়টা জানতে পারেন”।প্রথমে ভয় পেলেও গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ধৃতকে সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পাশাপাশি কাকদ্বীপ হাসপাতালে নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে পেশ করলে অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *