জেলাদেশব্রেকিং নিউজস্বাস্থ্য

আপনিও কি মানসিক রোগে ভুগছেন?? কি করলে এই মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠবেন বুঝতে পারছেন না? মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ নিয়মগুলো দেখে নিনঃ

নিজস্ব প্রতিনিধি , দেশ:-প্রতিটি মানুষের মধ্যে একটা বড় জিনিস আমরা লক্ষ্য করে থাকি সেটা হলো মানসিক চাপ। আমরা আমাদের জীবনে যা কিছু খারাপ ঘটে তা নিয়ে আমরা মানসিক দিক থেকে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়ি। আমরা শরীরের অসুখকে যতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকি ঠিক ততটাই মনের অসুখকে আমরা অবহেলা করি । যখন আমাদের জীবনে কিছু খারাপ ঘটে থাকে বা ঘটতেই থাকে তখন আমরা কোন কিছু না ভেবে পেয়ে আত্মহত্যা করার মত খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। তাই মানসিক চাপকে হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না একদমই। মানুসিক চাপ থেকে ফ্রি হতে চান? সেই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে চাইলে জেনে নিন কিছু অল্পস্বল্প নিয়ম। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাকঃ

১. মন যা চায়ঃ

মানুষ মানসিক চাপে বেশি ভোগে অন্যের কারণে। অন্যের মনের মত হতে গিয়ে মানুষ তার নিজের ইচ্ছাগুলোর মূল্য দেয় না বা দিতে ভুলে যায়। সেদিক থেকে আপনি আপনার মনকে ঠিক করতে চাইলে বা ঠিক রাখতে চাইলে অন্যের পছন্দ মত নয় নিজের পছন্দমতো কিছু করুন যা করলে আপনি আনন্দ পেতে পারেন হ্যাঁ হতে পারে সেটা ফোন ঘাটা , টিভি দেখা, দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, বন্ধুদের সাথে টাইম কাটানো, পরিবারের সাথে সময় কাটানো ,সাজগোজ, কিংবা অন্য কিছু। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন :-শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে আমাদের মাসল বা পেশী শিথিল হয়। এতে মানসিকভাবেও আপনি অনেকটা হালকা বোধ করবেন। সেইসঙ্গে ধর্মীয় প্রার্থনা, মেডিটেশন ইত্যাদিও আপনার মনকে উৎফুল্ল রাখতে পারে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন :-

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে আমাদের মাসল বা পেশী শিথিল হয়। এতে মানসিকভাবেও আপনি অনেকটা হালকা বোধ করবেন। সেইসঙ্গে ধর্মীয় প্রার্থনা, মেডিটেশন ইত্যাদিও আপনার মনকে উৎফুল্ল রাখতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবঃ

মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই দরকারী। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থে বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে মানসিক ক্লান্তি ও বিষাদও দূর হবে।.

অতীত ও ভবিষ্যত নিয়ে না ভেবে বর্তমানে মনোযোগ দেওয়াঃ

আমরা, মানুষেরা স্বভাবতই অতীত ও ভবিষ্যত নিয়ে বেশি চিন্তা করতে থাকি। অতীতের নানা রকম পাওয়া, না-পাওয়ার হিসাব আমাদেরকে আফসোস করায়। এতে নানারকম দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। আবার ভবিষ্যতের নানাবিধ পরিকল্পনা আমাদেরকে বিচলিত করে তোলে। বর্তমান কাজে মননিবেশ করতে পারি না। এতে করে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *