আজব এক গ্রাম,বর্ষাকালে ছমাস জলমগ্ন,চর্ম রোগে আক্রান্ত শয়ে-শয়ে গ্রামবাসী
নিউজ বাংলা লাইভ : মন্দিরবাজার; এক আজব এক গ্রাম।বর্ষাকালে ছ মাস ধরে জলমগ্ন গোটা এলাকা।চর্ম রোগে ভুগছেন শয়ে-শয়ে পরিবার।সব দেখেও প্রশাসন নির্বিকার।দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার ব্লকের লক্ষীকান্তপুর,নলপুকুর ও পোলেরহাট এই তিনটি গ্রামের পাঁচটি পাড়া বছরের ছ মাস জলমগ্ন হয়ে থাকে।সাপ-ব্যাঙ,বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের সঙ্গে মানুষের বাস।সব জেনে শুনেও প্রশাসন উদাসীন। এইভাবে থাকাটা শুধু এক দু দিনের জন্য নয়,আজ ১০ থেকে ১৫ বছর এইভাবে জীবনযাত্রা কাটিয়ে যাচ্ছেন এলাকার মানুষ।আরো অভিযোগ এই অবস্থার মধ্যে সাপ ব্যাঙ ও বিষাক্ত কীটপতঙ্গের সঙ্গে বসবাস করতে হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে। ইতিমধ্যে চার থেকে পাঁচজনকে সাপের ছোবল খেতে হয়েছে। সন্ধ্যার পরে আতঙ্কে ঘুম চলে যাচ্ছে এলাকার মানুষের।পিপাসার জল হিসাবে ডুবে থাকা কলের দুর্গন্ধ যুক্ত জল খেতে হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া প্রায় বন্ধ।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/09/IMG-20230914-WA0181.jpg)
বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গৃহবন্দী।অসুস্থ মানুষ সুযোগ পাচ্ছেননা চিকিৎসা করানোর। অভিযোগ প্রতিটা বাড়িতে বাড়িতে জ্বর, মশার উপদ্রব, গায়ে চর্মরোগ ভরে যাচ্ছে পচা জল মাড়িয়ে হাঁটাচলা করার ফলে। উপায় না দেখে অনেকেই ছ মাসের জন্য নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যান অন্যত্র ভাড়া ঘরে। কারণ রান্নাঘর থেকে শোবার ঘর পর্যন্ত সবই জলমগ্ন।এমনকি আইসিডিএস সেন্টার স্কুল ও এই জল যন্ত্রনাতে ভুগছে। আর মানুষের এই জল যন্ত্রণা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধীদের তরজা। শাসকদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই এলাকা রেলের অধীন। তারা কাজ করতে গিয়ে রেল দপ্তরের দ্বারা হেনেস্তার শিকার হয়েছেন। বিজেপির মদতে রেলের আধিকারিকরা তাদের ড্রেজার মেশিন সিজ করে ন’জনকে কেস দিয়েছে।তা সত্তেও তারা খাল কেটেছে কেল্ভাট তৈরি করেছে। রেল অনুমতি দিলে এক সপ্তাহে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এমপি, এমএলএ,পঞ্চায়েত সমিতি, প্রধান, মেম্বার, সবই শাসকদলের। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা এলাকার মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতে ক্ষমতাহীন বিজেপিকে দোষারোপ করে চলেছে। চ্যালেঞ্জের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে,সৎ সাহস থাকলে বিধায়ক সকলকে নিয়ে রেলের ডিআরএমের কাছে চলুন।তাহলে বোঝা যাবে যে তারা মানুষের জন্য কিছু করতে চায়। কয়েক বছর ধরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তাদের এই মিথ্যা নাটক।মানুষ এসব সব বুঝতে পেরেছেন। এই মিথ্যা নাটক বেশি দিন চলবে না।