রাজনীতিহাওড়া

অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড! নজর এড়িয়ে কারচুপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া:এ বার প্রকাশ্যে দিবালোকে খোদ এলাকার শিবপুর বিধানসভার অন্তর্গত জগাছা থানা এলাকার ধাঁড়সা আরুপাড়া এলাকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের অফিসের সামনেই নগদ অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন ও সংশোধনীর জন্য ফর্ম ফিলাপ চলছে বলেই অভিযোগ ওঠে ওই ক্যাম্পে আসা পরিষেবা গ্রাহকদের থেকে। সোমবার বেলার দিকে এই ছবি নজরে পড়ল শিবপুর বিধানসভার অন্তর্গত জগাছা থানা এলাকার ধাঁড়সা আরুপাড়া এলাকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের সামনেই। নগদ টাকা নিয়ে ফর্ম ফিলাপ করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। স্বভাবতই তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ক্যাম্প সন্নিকটে অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ফর্ম ফিলাপ করা হচ্ছে?প্রকাশ্যে ফ্লেক্স না থাকলেও অনেকের ফর্ম ফিলাপ করার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে চলছে এই ফর্ম ফিলাপ করার কাজ।

ধাঁড়সা আরুপাড়ার বাসিন্দা মিনা দাস অভিযোগ করেন তিনি ফর্ম ফিলাপ করতে জানেন না। দুয়ারে ক্যাম্পে এক ব্যক্তি বসে আছেন তার কাছে গেলে তিনি বলেন তার ফর্ম তিনি ফিলাপ করে দেবেন তবে তার জন্য কুড়ি টাকা লাগবে। বিনা পয়সাতে লিখবেন না। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ফর্ম ফিলাপ করতে তিনি ওই ব্যক্তিকে ২০ টাকা দিয়েছেন বলেই জানান মিনা দাস।একই অভিযোগ করেন সাঁতরাগাছি থেকে আসা নূরেজা খাতুন। তিনি লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম ফিলাপ করতে এসেছিলেন। এখানে ১০ টাকা নিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে নিচ্ছে। অনেকের কাছে ফর্ম নিয়ে গেছেন তবে কেউ লিখে দেয় নি।পয়সা নিয়ে ফর্ম ফিলাপ করা ওই ব্যক্তি জানান তিনি স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ট কর্মী। বেলা থেকে দশ পনেরোটা ফর্ম তিনি ফিলাপ করেছেন। দশটাকা করে ফর্ম ফিলাপ করতে নিচ্ছেন। তিনি জানান তার মতো অনেকেই এই ক্যাম্পের মাঠে আছেন যারা টাকা নিয়ে ফর্ম ফিলাপ করছেন। এরপর শাসক দলের কর্মী প্রতাপ ঘোষ সহ অন্য সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমকে দেখে তার উপরে চেঁচামিছি করে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। শাসক দলের নেতা প্রতাপ ঘোষ দাবি করেন ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি তৃণমূলের নাম করলেও আদতে তিনি দলের কেউ নয়। সকাল থেকে ওই ব্যক্তি ছিল না বলেই দাবি করেন তিনি। এখানে পয়সা নিয়ে ফর্ম ফিলাপ করার কোনো ঘটনা ঘটছে না দাবি জানালেও যারা ফর্ম ফিলাপ করিয়েছেন পয়সা দিয়ে তাঁরাই পয়সা দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করানোর দাবি করেন।

যদিও ওই এলাকারই বাসিন্দা বুবাই মন্ডল স্পষ্ট জানান এর আগে তিনবার ফর্ম ফিলাপ করেও কার্ড পিকন নি। তাই এবার নিজে না করে কুড়ি টাকা দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিয়েছেন। তার মতো অনেকেই এখানে পয়সা দিয়েই ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন।যদিও প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকার থেকে বিনামূল্যে ফর্ম ফিলাপ সহ যে কোনো সহায়তার জন্য ক্যাম্পে নির্দিষ্ট সংখ্যক অধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়েছে তার পরেও নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কেন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে এর কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি উপস্থিত প্রশাসনের থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *