অবশেষে পরিবর্তন করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম, পটাশপুর, কাঁথি প্রভৃতি জায়গায় উঠে এলো এমন চিত্র..।

নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব মেদিনীপুর:– একাধিক সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার অভিযোগ করে আসছিলেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পাঠানো টাকা বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানান ভাবে নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের প্রকল্প বলে চালাতে শুরু করেছিলেন, ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কেন্দ্র প্রকল্পের টাকার দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নাম পরিবর্তন করে বাংলা আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা নামের পরিবর্তে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা নাম ফলকে লেখা হয়েছে। এই নিয়ে সরব হয়ে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামে বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, গত কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের আট বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিভিন্ন টাকা রাজ্য সরকার নয়, ছয়, করছে তার তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে আসছেন আর সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এই দিন পশ্চিমবঙ্গে আসেন এবং বিভিন্ন প্রকল্প গুলি ঘুরে দেখেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন যদি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় বাংলা আবাস যোজনা কিংবা প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা বাংলা সড়ক যোজনা এবং ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকায় গাফিলতি ধরা পড়লে কেন্দ্রীয় সরকারসেই প্রকল্পের টাকা অনুমোদন বন্ধ করে দেবে। আর তারই ফলশ্রুতি হিসেবে এইদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর, কাঁথি প্রভৃতি জায়গায় বাংলা আবাস যোজনা নাম পরিবর্তন করে নাম লেখা হলো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। আবার কোন কোন জায়গায় বাংলা সড়ক যোজনা পরিবর্তে ফলক পরিবর্তন করে লেখা হলো প্রধানমন্ত্রীর সড়ক যোজনা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করে আসছি আজ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঢুকেছেন তাই ‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না’ কেন্দ্রীয় টিম এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখবেন তার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে আর আমরা যে দাবি করে আসছিলাম সেই দাবির সত্যতা রয়েছে তা প্রমান হলো। অপর দিকে তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন এই সমস্ত প্রকল্প গুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যেমন টাকা দেয় আর রাজ্য সরকার ওটাকা দেয়, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের যদি নাম লেখা থাকে তাহলে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের নাম লেখা থাকবে না কেন? আমরাও এর দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার বিমাতৃ সুলভ আচরণ করছে। সাধারণ মানুষের ১০০ দিনের প্রাপ্য টাকা তারা দিচ্ছেন, আর রাজ্য থেকে ট্যক্স তুলে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র সরকার, আমাদের প্রাপ্য টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্র। তার জন্য গোটা রাজ্য জুড়ে আমাদের এই আন্দোলনেও দাবি উঠছে যতদিন না পর্যন্ত এর সুষ্ঠু সমাধান না হয় পরবর্তী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে অখিল বাবু জানান। তবে যাই হোক বিরোধী দলের এই অভিযোগ সমাধান হওয়ায় অনেক টাই ব্যাকফুটে শাসকদল এটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।